Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
রায় সাহেব বিনোদ বিহার সাধু ও পিসি রায়
বিস্তারিত

প্রথিতযশা বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্য চন্দ্র রায় দক্ষিণ জনপদের মা ও মাটির গর্ব। বঙ্গপোসাগরের কোল ঘেঁষে এবং সুন্দরবনের পাদদেশে পাইকগাছার রাড়–লী গ্রামে তার জন্ম। ২ আগস্ট ১৮৬১ সাল তার জন্ম। তিনি শিক্ষক গবেষক ও সংগ্রামী পুরুষ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার সম্পৃক্ততা জাতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করছে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু আমাদের গর্বের স্যার পিসি রায়ের সম্পর্কে বলেছেন তার অপরিসীম শক্তিতে যেন পুরাকালের দৈত্যের মত ছিলেন। বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বিজ্ঞান জগতের এক জগতের এক উজ্জল বর্ত্তিকা। রাসায়নিক গবেষণায় তিনি প্রধান পথিকৃত। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই কাছে শিক্ষা দিক্ষা পেয়ে আজ বাঙ্গালী নানা ক্ষেত্রে যশ অজর্ণ করেছে। পিসি রায় খুলনা অঞ্চলের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য নিউমার্কেটের পেছনে টেক্সটাইল মিলস গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে কাপরের সংকট ও বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তার অমর কৃর্তি বেঙ্গল কেমিক্যাল। তিনি এক সময় হিসাব করে দেখেছিলেন এই কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। স্বাধীন ভারতে নতুন নতুন উদোক্তা আসার ফলে ঔষধ শিল্পে নতুন পুঁজি বিনিয়োগ হতে থাকে। নতুন উদ্যোক্তাদের চেষ্টার কাছে এপিসি ফার্মাসিটিক্যালস হার মানতে শুরু করে। তিনি বাগেরহাটে শিক্ষার বিকাশ লাভের জন্য পিসি কলেজ, রুপসা উপজেলার অদুরে নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা শহরের এপিসি গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মহাজনের সুদের হার থেকে মুক্তি পেতে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক গড়ে তোলেন। দি বেঙ্গল কো-অপারেটিভ অর্গানাইজেশন সোসাইটি ও বেঙ্গল কো-অপারেটিভ এন্ট্রি ম্যালিরিয়াল সোসাইটি। ১৮৯৫ সালে মারকিউরাস নাইটরাইড আবিস্কার করে বিশ্বে আলোরণ সৃষ্টি করেন। ব্রিটিশ সরকার ১৯১৯ সালে তাকে নাইট উপাধী দেন। ভারতীয় নানা ক্ষেত্রে তিনি যশ অর্জন করেন। একজন পথিকৃত এবং মহান কৃর্তির স্রষ্টা পিসি রায় স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি সংসার বিমুখ মানুষ ছিলেন। গুস্মামী পরিবারের সন্তান হওয়াও চিন্তায় চেতনায় ছিলেন মানুষের মুক্তির দুত। শিক্ষাকতা ও গবেষণা করেই ক্ষান্ত হননি। বিজ্ঞান চর্চার জন্য বিজ্ঞান ক্লাবসহ নতুন নতুন জিনিস আবিস্কারে করেন।